Welcome to Sylhet Independent Store !
রিট (Writ) বলতে কি বুঝায়? রিটের প্রকারভেদ আলোচনা কর

রিট (Writ) বলতে কি বুঝায়? রিটের প্রকারভেদ আলোচনা কর

(0 customer review)

alt="রিট কত প্রকার"

রিট বলতে কি বুঝায়?

বাংলাদেশের সংবিধান সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগকে শুধুমাত্র একটি বিষয়ে আদি -Original এখতিয়ার দিয়েছে তা হল সংবিধানের ১০২ নং Article.

সংবিধানের ৪৪নং অনুচ্ছেদ দেশের সকল নাগরিককে দিয়েছে মৌলিক অধিকার।নাগরিকের এরুপ অধিকার লঙ্গিত হলে তা বলবত করার জন্য এবং বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনাকে কার্যকর করার এখতিয়ারই হল হাইকোর্ট বিভাগের রিট এখতিয়ার।

তাই কোন নাগরিক মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য সংবিধানের ৪৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগে যে আবেদন করতে পারেন তাই হল রিট আবেদন বা রিট পিটিশন।

এরুপ আবেদন পেলে হাইকোর্ট বিভাগ সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে মৌলিক অধিকার বলবত করার যে আদেশ দেয়, তাই রিট।

কোনো নাগরিক জনস্বার্থ বা ব্যক্তিগত বিষয়ে বা সরকারি-বেসরকারি কোনো সিদ্ধান্তে অসন্তোষ্ট হলে সংবিধানের ১০২ ধারা অনুসারে তিনি রিট দায়ের করতে পারেন। রিটের বিষয়টি মামলার মতো হলেও দুটির মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। কেউ যদি মনে করে সরকারের প্রণীত কোনো আইন প্রচলিত অন্য আইনের পরিপন্থী বা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক, সে ক্ষেত্রেও আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা যায়। অবশ্য কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে রিট এবং সাধারণ মামলা দুটিই করা চলে। রিটে খরচ কিছুটা বেশি হলেও সাধারণত দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।

রিটের (Writ) উৎপত্তি কোথায়?

এখন রিটের উৎপত্তি ও উহার প্রকার নিয়ে আমার ক্ষুদ্র ধারনা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

রিটের উৎপত্তি হয়েছে ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ডের রাজা বা রাণী জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য বা অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে এমন কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকার জন্য রাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রিট জারি করতেন যা সময়ের বিবর্তনে মানুষের অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

রিটের প্রকারভেদ ও আলোচনা

বাংলাদেশের সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছেদে রিট সম্পর্কে আলোচনা থাকলেও রিট যে পাঁচ প্রকার তার উল্লেখ নেই।তবে উক্ত অনুচ্ছেদে প্রতিটি রিটের যে উপাদান বর্ণীত আছে তার বিশ্লেষণ থেকে পাঁচ প্রকার রিটের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় যা নিচে আলোচনা করা হল।

১) Prohibition Writ : নিষেধাজ্ঞা মূলক রিট :-


অধস্তন আদালত , Tribunal, কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা বা কোন বেক্তি তাঁর এখতিয়ার বহির্ভূত কোন কাজ বা স্বাভাবিক ন্যায়নীতিকে ব্যহত করে এমন কোন কাজ করতে উদ্দত হলে তা থেকে বিরত রাখার জন্য হাইকোর্ট বিভাগ কারো আবেদনের প্রেক্ষিতে যে নিষেধ আদেশ প্রদান করতে পারেন তাই হল নিষেধাজ্ঞা মূলক রিট বা ProhibitionWrit . It is an order to the Lower Court ,Tribunal or any body not to do the act in violation of justice.It’s a preventive remedy.

২) Certiorari Writ :


প্রজাতন্তের কর্মে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ বা অধস্তন কোন আদালত বা Tribunal এর কোন কার্যধারা বা আদেশ আইনানুগ না হয়ে থাকলে হাইকোর্ট বিভাগ সেই আদেশকে অকার্যকর ঘোষণা করে যে আদেশ দিতে পারেন তাই হল Certiorari Writ .It’s a Corrective Remedy.

আরো পড়ুনঃ আপনার মিথা মামলা হলে কি করবেন?

আরো পড়ুনঃ কোর্টে বিনা মূল্যে উকিল পাবেন যেভাবে

৩) Mandamas Writ:-


অধস্তন আদালত ,ট্রাইবুন্যাল, কর্তৃপক্ষ ,সংস্থা বা কোন ব্যক্তি আইনের করনীয় সম্পর্কে সিউর হতে না পারলে বা আইনগত দায়িত্ব পালনে অস্বীকার করলে বা অনুরূপ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে হাইকোর্ট বিভাগ ওই দায়িত্ব পালনের জন্য যে আদেশ দিতে পারেন তাই হল ‘নির্দেশনা মূলক বা হুকুম জারি রিট (Mandamas Writ). It’s a Directive Writ.

৪) বন্দী প্রদর্শন রিট – Habeas Corpus :


আইনগত কর্তৃত্ব বা বৈধ কারণ ব্যতিত সরকার বা কোন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যক্তিকে আটক করে রাখলে তাকে আদালতের সামনে হাজির করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগ যে আদেশ দিতে পারেন ,তাই হল ‘বন্দী প্রদর্শন রিট’ বা Habeas Corpus’ (To have the body before the Court ).

৫) কারণ দর্শানোর রিট – Quo -Warranto:


কোন সরকারী পদে অধিষ্ঠিত বলে বিবেচিত ব্যক্তি কোন কথিত বলে উক্ত পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন বা রয়েছেন তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলে হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করলে হাইকোর্ট বিভাগ কথিত পদাধিকারিকে তাঁর পদে অধিষ্ঠিত থাকার কারণ প্রদর্শন করার যে আদেশ দিতে পারেন তাই হল ‘কারণ দর্শানোর রিট ‘বা Writ of Quo-Warranto.(To explain by what authority to assume the office ).

কে রীট দায়ের করতে পারেন?

অধস্তন আদালত , Tribunal, কর্তৃপক্ষ ,সংস্থা বা কোন ব্যক্তি প্রদত্ত আদেশ বা সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ( aggrieved person) হয়েছেন এমন যেকোনো ব্যক্তি রিট পিটিশন দায়ের করতে পারেন।তাছাড়া হাইকোর্ট বিভাগ নিজ ইচ্ছায় (Suomoto) রিট জারি করতে পারেন।

উল্লেখ্য যে , বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ বা শৃঙ্খলা বাহিনী সংক্রান্ত আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত কোন আদালত বা Tribunal;এবং প্রশাসনিক Tribunal এর কোন আদেশ বা নির্দেশের উপর রিট করা যায়না।

আজকের আর্টিকেলটি [ রিট (Writ) বলতে কি বুঝায়? রিটের প্রকারভেদ আলোচনা কর ]  পছন্দ হলে শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দেয়ার অনুরোধ রইলো। আর যদি আপনাদের মনে আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে তা নিচে কমেন্ট করেও জানাতে পারেন।

যে কোন আইনী পরামর্শের জন্যে যোগাযোগ করতে ইমেইল করুন -
Email: info.shuhag@gmail.com
অথবা,
কন্টাক্ট বক্সে মেসেজ করতে পারেন।