Welcome to Sylhet Independent Store !
কোন কোন কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় না?  যে সকল কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় না

কোন কোন কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় না? যে সকল কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় না

(0 customer review)

 

যে সকল কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় না 

পবিত্র রমজান মাস সারা বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাদের জন্য রহমত স্বরুপ। সকল প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের জন্যে রোজা রাখা ফরজ। আমারা অনেক সময় রোজা ভাঙ্গার কারণসমূহ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। জ্ঞানের ঘাটতির জন্যে মাঝে মাঝে আমরা ধরেই নিই যে আমাদের রোজা হয়তো ভেঙ্গে গিয়েছে। কিন্তু রোজা মকরুহ হওয়া ও রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার মধ্যে ব্যাপক ফারাক আছে। আজকে আমরা আলোচনা করবো " যে সকল কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় না "। চলুন তাহলে দেখা নেয়া যাক,

 " যে সকল কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় না " :

১. রোজা অবস্থায় প্রয়োজনে ইনজেকশন বা স্যালাইন পুশ করা জায়েয আছে। এমনকি প্রয়োজনে গ্লুকোজ সাল্যাইনও পুশ করা যাবে। এর দ্বারা রোজার কোন ক্ষতি হবে না। কোন ঔষধ ব্যতীত যদি শুধু অক্সিজেন নেয়া হয় তাহলেও রোজা ভাঙ্গবে না।

২. নিজের কোন রোগের কারণে বা অন্য রোগীর অপারেশন বা অন্য কোন প্রয়োজনে রোজা অবস্থায় ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্ত বের করাতে রোজার কোন ক্ষতি হবে না এবং প্রয়োজনে রক্ত গ্রহণ করাতেও রোজার কোন ক্ষতি হবে না।

৩. রোজাদার দিনের বেলায় প্রয়োজনে চোখে ঔষধ দিতে পারে। এতে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। ঔষধ চাই তরল জাতীয় হোক, এমনিভাবে সুরমাও দিতে পারবে। এসব বিষয়ে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। যদিও ঔষধ বা সুরমার স্বাদ গলায় অনুভূত হয় না কেন বা থু-থুর সাথে তা দৃষ্টিগোচর হয় না কেন।

৪. রোজা অবস্থায় দিনের বেলায়ও মা তার দুগ্ধপোষ্য সন্তানকে দুধ পান করাতে পারবে। এর দ্বারা রোজার কোন ক্ষতি হবে না। এমনিভাবে এর দ্বারা অযুও ভাঙ্গবে না।

৫. স্বামী যদি তরকারীতে লবণ কম-বেশি হলে বা মসল্লা ঠিকমত না হলে গাল-মন্দ করে বা মারপিট করে, তাহলে জিহ্বা দিয়ে তরকারীর লবণ দেখা যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন ভিতরে চলে না যায়। বরং জিহ্বায় দিয়ে সাথে সাথে থুথু করে ফেলে দিতে হবে। 

৬. রোজা অবস্থায় মুখের থু-থু অথবা সর্দির কারণে নাকের পানি ও শ্লেস্মা উপরের দিকে টান দেয়ার কারণে যদি গলায় এসে যায় আর রোজাদার তা গিলে ফেলে, তাহলে এর দ্বারা রোজার কোন ক্ষতি হবে না। 

৭. কুলি করার পর মুখে যেই সিক্ততা বাকি থাকে, থু-থুর সাথে তা গিলে ফেললে রোজার কোন ক্ষতি হবে না।

৮. রোজা অবস্থায় মাথায় বা শরীরে তেল ব্যবহার করা জায়েজ আছে। এতে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। এই মাসআলার উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, রোজা অবস্থায় স্নো ক্রিম, পাউডার ও লোশন জাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে, এতে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। তবে প্রসাধনীতেই যদি নাপাক বা ব্যবহার করা যায় না এমন কোন মেডিসিন থাকে তাহলে ভিন্ন কথা। সেক্ষেত্রে, ঐ প্রসাধনী রোজা ছাড়া অন্য অবস্থায়ও ব্যবহার করা যাবে না।

৯. রোজা অবস্থায় আতর ব্যবহার করা যাবে। এতে রোজার কোন ক্ষতি হবে না।

১০. রোজা অবস্থায় দিনের যে কোন সময়ে গাছের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করা যাবে, এতে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। অনেকে মনে করে রোজা অবস্থায় আসরের পূর্বে মেসওয়াক করা যায় না। এটি একটি ভুল ধারণা । নিম গাছ, জয়তুন গাছ সহ আরো অন্যান্য গাছের ভিজা ডাল দিয়েও মেসওয়াক করা যাবে। মেসওয়াক করার সময় যদি ডালের আশ গলায় চলে যায় তাহলে এর দ্বারা রোজার কোন ক্ষতি হবে না। 

১১. রোজা অবস্থায় টুথ পেষ্ট বা টুথ পাউডার অথবা কয়লা ইত্যাদি দিয়ে দাঁত পরিস্কার করা মাকরূহ। দিনের বেলায় এসব ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে যদি একান্ত প্রয়োজন হয় যেমন এগুলো ব্যবহার না করলে দাঁতের ব্যথা হয় বা দাঁতের গোড়া ফুলে যায় তাহলে প্রয়োজনের কারণে ব্যবহার করতে পারবে। তবে এ অবস্থায়ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে গলায় চলে না যায়। যদি সামান্য একটুও গলায় চলে যায় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।

১২. রোজা অবস্থায় যদি কারো অনিচ্ছায় বমি হয় তাহলে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। পরিমাণে বেশি বা কম হোক । আর যদি ইচ্ছাকৃত বমি করে এবং তা মুখ ভরে হয় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। মুখ না ভরলে রোজা ভাঙ্গবে না। বমি আসার পর যদি তা নিজে নিজেই আবার ভেতরে চলে যায় তাহলেও রোজা ভাঙ্গবে না। তবে কেউ ইচ্ছা করে যদি বমিতে নির্গত খাদ্য খেয়ে ফেলে বা গিলে ফেলে এবং ছোলা পরিমাণ হয় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।

১৩. কোন ব্যক্তি সুবহে সাদিকের পূর্বে যদি সঙ্গম করার পর ঘুমিয়ে যায়- আর সুবহে সাদিকের পর ঘুম থেকে উঠে অথবা দিনের কিয়দাংশ নাপাক অবস্থায় থাকে বা পুরো দিন নাপাক অবস্থায় থাকে অথবা দিনের বেলায় নাইট প্রেসার তথা স্বপ্নদোষ হয়, তাহলে এসবের দ্বারা রোজার কোন ক্ষতি হবে না। রোজা আদায় হয়ে যাবে। তবে নাপাক অবস্থায় থাকাটা গোনাহের কাজ । তাছাড়া দিনের নামাজগুলো পড়ার জন্য তো গোসল করতেই হেব। তাই যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি গোসল করতে হবে। তবে এই গোসল করা না করার সাথে রোজার বিশেষ সম্পর্ক নেই । 

১৪. কোন ব্যক্তি সফরের নিয়তের দিনের বেলায় ঘর থেকে বের হওয়া পর্যন্ত ঐ দিনের রোজা ভাঙ্গা তার জন্য জায়িয নেই, রোযা ভেঙ্গে এরপর রওয়ানা করে তাহলে তার উপর ঐ রোজার কাযা কাফফারা উভয়টি আবশ্যক হয়ে যাবে। 

১৫. রোজা অবস্থায় অজু করার সময় গড়গড়া করা, নাকের ভিতর পানি টেনে নেয়া মাকরুহ। 

১৬. রোজা অবস্থায় এমন কোন কাজ করা মাকরুহ যার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং রোজা ভাঙ্গতে বাধ্য হয় ।

আজকের আর্টিকেলটি (কোন কোন কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় না) পছন্দ হলে শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দেয়ার অনুরোধ রইলো। আর যদি আপনাদের মনে আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে তা নিচে কমেন্ট করেও জানাতে পারেন।