![]() |
ক্রেডিট : www.jugantor.com |
এতেকাফ অর্থ :
এতেকাফ অর্থ হচ্ছে পড়ে থাকা, অবস্থান করা। যেন আল্লাহর দরবারে এই উদ্দেশ্যে পড়ে থাকা হয় যে, যতক্ষণ মাগফিরাত-রহমত না হবে, ততক্ষণ দরবারে পড়ে থাকবো।
পরিভাষায় এতেকাফ অর্থ :
আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় তার পবিত্র ঘরে কিছু সময় অবস্থান করাকে এতেকাফ বলে ।
এতেকাফ তিন প্রকার :
১. নফল এতেকাফ যা সামান্য সময়ের জন্য হতে পারে।
২. সুন্নত এতেকাফ যা রমযানের শেষ দশকে হয়ে থাকে।
৩. ওয়াজিব এতেকাফ যা মান্নত করার দ্বারা রোযাসহ পূর্ণ দিন করতে হয়।
এতেকাফ করার নিয়ম :
পুরুষের জন্য যেমন এতেকাফের সুযোগ রয়েছে, মহিলাদের জন্যও একই রকম সুযোগ রয়েছে। পুরুষগণ যেমন এতেকাফ করতে পারেন, মহিলাগণও তেমনি এতেকাফ করতে পারেন। বরং মহিলাদের জন্য এতেকাফ করা বেশী সহজ। তারা ঘরের একটা কোণাকে নির্দিষ্ট করে সেখানেই এতেকাফের নিয়তে থাকবেন। সুন্নত এতেকাফের সময় শুরু হয় রমজানের একুশতম রাত থেকে। ২০শে রমযান সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই এতেকাফের স্থানে চলে আসতে হয়। এরপর ঈদের চাঁদ দেখা গেলে এতেকাফের সময় শেষ হয়।
হযরত ইবনে আব্বাস রা: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে খাঁটি দিলে একদিন নফল এতেকাফ করবে, আল্লাহ তাআলা জাহান্নামকে তার থেকে তিন খন্দক দূরে সরিয়ে দিবেন। এক “খন্দক” বলতে আসমান জমিনের যে দূরত্ব তার চেয়েও বেশী দূরত্বকে বোঝানো হয়।
হযরত ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতেকাফকারীর ব্যাপারে ইরশাদ করেছেন: এতেকাফকারী ব্যক্তি সর্ব রকম গোনাহ থেকে মুক্ত থাকে এবং তার জন্য সব ধরনের নেক আমলকারীর মত নেকী লেখা হয়।
এতেকাফ এর ফজিলত :
এতেকাফের তিনটি বিশেষ ফায়দা ও ফজিলত রয়েছে।
ক. এতেকাফ করা দ্বারা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পাওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা রমযানের শেষ দশকই শবে কদর হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনাময়ী সময়। আর এতেকাফকারী এই গোটা সময়েই আল্লাহর দরবারে পড়ে থাকে। তাই রমযানের শেষ দশকে এতেকাফ করা দ্বারা লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পাওয়া অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
খ. পবিত্র রমযান মাসের শেষ দশকে এতেকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। কোন মহল্লার মসজিদে কেউ যদি না বসে তাহলে মহল্লাবাসী সবাই গোনাহগার হবে। আর একজনও যদি বসে তাহলে সবাই গোনাহ থেকে বেচে যাবে।
অনেকের ধারণা যে, এতেকাফ অনেক কঠিন আমল। যার ফলে ভয়ে অনেকেই ইতিকাফে বসতে চায় না। অথচ বিষয়টি এমন কঠিন নয় বরং তা সহজ একটি ইবাদত। পাক সাফ বিছানা ও হালকা সামানা নিয়ে মসজিদে চলে যাবে। সময়মত সেখানে ঘুমাবে, খাওয়ার সময় আদবসহ খাবে, প্রয়োজনে টয়লেটে যাবে আর বাকী সময়টা সুয়ে বসে তাসবী তাহলীল বা তিলাওয়াত ও বিভিন্ন আমলের এবং বুযর্গদের বই পড়বে। কথা বর্তা কম বলবে।
আজকের আর্টিকেলটি (এতেকাফ অর্থ কি?) পছন্দ হলে শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দেয়ার অনুরোধ রইলো। আর যদি আপনাদের মনে আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে তা নিচে কমেন্ট করেও জানাতে পারেন।
0 Reviews
Your rating