গিনেস বুক কি? গিনেস বুকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

 

তাজমহল (আগ্রা, ভারত)

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস (GWR) হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় প্রতি বছর প্রকাশিত একটি রেফারেন্স বই। এটি মানুষের কৃতিত্বের বিশ্ব রেকর্ড এবং প্রাকৃতিক চরমতা তালিকাভুক্ত করে।

যমজ দুই ভাই নরিস এবং রস ম্যাকওয়াইটার দ্বারা বইটি ১৯৫৫ সালের আগস্টে লন্ডনের ফ্লিট স্ট্রিটে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। মজার বিষয় হচ্ছে, বইটি নিজেই সর্বকালের সেরা বিক্রি হওয়া কপিরাইট বই সিরিজ হিসাবে একটি বিশ্ব রেকর্ড করেছে। প্রকাশনার বাইরে, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এখন একটি মাল্টি-মিডিয়া ব্র্যান্ড এজেন্সি যার বিস্তৃত পরিসরের পণ্য এবং পরিষেবা রয়েছে।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ৪০ হাজারেরও বেশি রেকর্ড বিভাগের একটি ডাটাবেস সংরক্ষণে রাখে এবং সেই রেকর্ডগুলির মধ্যে মাত্র ৩০০০ টি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হয়।

প্রতি বছর প্রায় ৪০০০ বিশ্ব রেকর্ড গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বইয়ে প্রকাশিত হয়। GWR সম্ভাব্য রেকর্ড ব্রেকারদের কাছ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজারের বেশি আবেদন পায়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বিদ্যমান রেকর্ডগুলির একটি ক্যাটালগ বজায় রাখে এবং প্রতিবছন নতুন রেকর্ড গ্রহণ করে।

বিশ্ব রেকর্ড কি?

একটি বিশ্ব রেকর্ডকে শিল্প বা পেশার যে কোনও ক্ষেত্রে বিশ্বের রেকর্ড করা সেরা পারফরম্যান্স হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

ইতিহাস

১৯৫৪ সালে স্যার হিউ বিভারের (গিনেস ব্রুয়ারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক) মনে একটি প্রশ্ন জেগেছিলো: ইউরোপের দ্রুততম পাখি কোনটি? এমন সব ব্যাতিক্রমী তথ্য ও পরিসংখ্যানের একটি বই সংকলন করার জন্য তিনি গবেষক দুই যমজ ভাই নরিস এবং রস ম্যাকওয়াইটারের কাছে যান।

গিনেস সুপারলেটিভস সর্বপ্রথম ১৯৫৪ সালে রেফারেন্স বই প্রকাশ করার জন্য গঠিত হয়েছিল।
প্রথমবারের মতো ১৯৭৪ সালে গিনেস বুক অফ রেকর্ডস ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া কপিরাইট বই হিসেবে রেকর্ড গড়ে এবং এখন পর্যন্ত মোট প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ সংখ্যা বিক্রি হয়েছে।

দুই বছর পর নিউ ইয়র্ক সিটির এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে গিনেস বুক অফ রেকর্ডস জাদুঘর খোলা হয়। বিগত ২০১৫ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তার প্রথম প্রকাশিত সংস্করণের ৬০ তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। গিনেস বুক অফ রেকর্ডস ভিত্তিক প্রথম টেলিভিশন সিরিজ 'রেকর্ড ব্রেকার্স' ১৯৭২ সালে প্রচারিত হয়েছিল।
১৯৯৯ সালে গিনেস পাবলিশিং লিমিটেডের নাম পরিবর্তন করে 'গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস' করা হয় এবং এক বছর পরে এর ওয়েবসাইট (guinnessworldrecords.com) চালু করা হয়।

আপনার যদি কোনো বিশেষ গুণ বা দক্ষতা থাকে, তবে আপনিও চাইলে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লেখাতে পারেন।
যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে, তবে শেয়ার করুন।


Previous Post Next Post