প্যারামেডিকেল কি? পড়াশোনার ধরন ও এর ভবিষ্যৎ

প্যারামেডিকেলের শিক্ষার্থী 

 প্যারামেডিকেল কি?

এসএসসি বা এইচএসসির পর বিষয় নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবাই চিন্তায় পড়ে যান। তাই এ সময়ে বেছে নিতে হবে এমন একটি বিষয়, যেখানে শিক্ষা ব্যয় কম হবে ও পড়ালেখা শেষে বেকার বসে থাকতে হবে না। বর্তমান সময়ে তেমনি একটি সম্ভাবনাময় পেশা মেডিকেল টেকনোলজি। চিকিৎসা সেবায় ডাক্তারদের প্রাধান্য দেওয়া হলেও একটি হাসপাতাল বা ক্লিনিক শুধু ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত হতে পারে না। প্রত্যেকটি বিভাগে ডাক্তারদের সহকারী হিসেবে প্রয়োজন হয় বিশেষজ্ঞ কর্মীর। এদেরই বলা হয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।

প্যারামেডিকেলের চাহিদা ও কাজের ক্ষেত্রঃ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একজন গ্র্যাজুয়েট চিকিত্সকের বিপরীতে ৫/৬ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে বাংলাদেশে বর্তমানে ২ লাখেরও বেশি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন। ইউনিয়ন, উপজেলা বা জেলা থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত প্রচুর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ক্লিনিক ছাড়াও আছে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, অসংখ্য বেসরকারি ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি। এসব প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক সংখ্যক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দরকার। দেশের বাইরেও মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কাজের সুযোগ আছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে মেডিকেল টেকনোলজি বিষয়ে পড়ালেখা করে বের হলেই সাধারণত ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকে। পরবর্তীতে কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। 

প্যারামেডিকেলে পড়ালেখার ধরন? 

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে এসএসসি পাশের পর পছন্দের যেকোনো বিষয়ে ভর্তি হতে পারেন। বিষয়গুলো হলো প্যাথলজি, ডেন্টাল, ফার্মেসি, নার্সিং, ফিজিওথেরাপি, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং ও প্যারামেডিকেল। বিএসসি বা এমএসসি করার সুযোগও রয়েছে। 

প্যারামেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা?

যেকোনো বিভাগ থেকে এসএসসিতে জিপিএ ন্যূনতম ২.৫০ পেলে পছন্দের একটি কোর্সে ভর্তি হওয়া যাবে। পড়াশোনা করা অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ইন্টার্নশিপের সুযোগ রয়েছে। একাডেমিক রেজাল্টের পাশাপাশি কর্মদক্ষতা যত ভালো হবে, তত ভালো অবস্থানে অথবা ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

প্যারা মেডিকেল র্কোস কোথায় পড়বেন? 

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদনপ্রাপ্ত মেডিকেল টেকনোলজি ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স (বিমস)। এখানকার কোর্সের মধ্যে রয়েছে ডিপ্লোমা ইন প্যাথলজি, ফার্মেসি, রেডিওলোজি অ্যান্ড ইমেজিং ডেন্টাল, ফিজিওথেরাপি, নার্সিং ও প্যারামেডিকেল। এখানে পড়ালেখার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাই রয়েছে।

প্যারামেডিকেল নিয়ে আপনাদের মনে আরো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানান। আর্টিকেলটি পছন্দ হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

Previous Post Next Post