যুগে যুগে পাওয়ারফুল আল্লাহ তাঁর নবী-রসুলদের স্বজাতির ভাষায় পারদর্শিতা দিয়ে পাঠিয়েছেন। যাতে তাঁরা তাদের উম্মতদের সহজে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিতে পারেন এবং উম্মতরা যেন বুঝতে পারেন তাঁদের কথা।
সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন,
'আমি রসুলদের তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি, যাতে তাদের দীন স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে।'
হজরত আদম (আ.) ছাড়া অন্য সব নবী-রসুলের প্রতি আল্লাহর প্রত্যাদেশ বা আসমানী কিতাব নাজিল হয়েছে তাঁদের মাতৃভাষায়। ভাষা বৈচিত্রের অপার মহিমার প্রতি ইঙ্গিত করেই আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন,
'আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি ও তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে অবশ্যই জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।'
রসুল (সা.)-এর পূর্বে যে সব নবী-রসুলের কাছে আল্লাহর ওহি প্রেরিত হয়েছে তাও তাদের মাতৃভাষা। হজরত মুসা (আ.)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল আসমানি কিতাব তাওরাত হিব্রু ভাষায়। হজরত দাউদ (আ.)-এর ওপর নাজিলকৃত জবুর ছিল ইউনানি ভাষায়। হজরত ইসা (আ.)-এর ওপর নাজিলকৃত ইনজিলের ভাষা ছিল সুরিয়ানি। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি নাজিলকৃত কোরআনের ভাষা হিসেবে আরবি দুনিয়ার সব মুসলমানের কাছে বিশেষ মর্যাদার অধিকরী।
মহান আল্লাহ আমাদের মাতৃভাষার চর্চাসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা ও চর্চার তাওফিক দান করুন।
কলমে : মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র শিক্ষক, বানিয়াচং সিনিয়র ফাযিল (আলিয়া) মাদরাসা, বানিয়াচং-হবিগঞ্জ,বাংলাদেশ।
স্থায়ী ও বর্তমান বাড়ি : মাহতাবপুর-আজমিরীগঞ্জ, আদমখানি-বানিয়াচং।
0 Reviews
Your rating